লায়ন সোবহান হাওলাদার
কোনো ব্যক্তিই নিরপেক্ষ নয় যদি সে ভোট দেয়। সে তো কোনো ব্যক্তি বা দলকে পছন্দ করে ভোট দিয়ে তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে।
অনেকে দলের কার্যক্রম অপছন্দ করলেও ব্যক্তি বিশেষকে পছন্দ করে তার পক্ষাবলম্বন করে। এটা দোষের কিছু না। যতোক্ষণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভালো কাজ করবে ততক্ষণ তার প্রতি সমর্থন থাকতেই পারে।
যারা রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য তারা ঐ দলের নীতি, আদর্শকে ভালোবেসে দল করে। এক্ষেত্রে সমর্থন ও ভোট প্রদান সাধারণত দল মনোনীত প্রার্থীকেই দিতে হয় এক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ গৌণ কেননা সে দলের আদর্শের ধারক ও বাহক।
নির্বাচন না হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ থাকে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সাদাকে সাদা, কালো কে কালো বলার ক্ষমতা রাখে কেননা সে কেউকে এখন পর্যন্ত সমর্থন দেয় নাই। দল বা ব্যক্তির জয়ের ব্যাপারে এই সুইং ভোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালণ করবে, যার প্রতিফলন আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেথতে পাবো।
গণমাধ্যমকর্মীদের নিরপেক্ষ থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করা বাঞ্ছনীয়। তার নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ সংবাদ প্রচারে কখনো যেনো প্রতিফলিত না হয়।
দেশের স্বার্থের ব্যাপারে কোনো ব্যক্তির বা দলের নিরপেক্ষ থাকা ঠিক নয়, সেক্ষেত্রে ‘জনগণের হতে হবে দেশকানা” কিন্তু দেশ পরিচালনায় সরকারের অন্যান্য দেশের স্বার্থও পররাষ্ট্রনীতিতে অবজ্ঞা করা অনুচিত ।
শুধু নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিলে অর্জিত স্বার্থের চড়া মূল্য দিতে হতে পারে যার ভূরি ভূরি প্রমাণ বিশ্বে আছে।
যেমন ইরান-আমেরিকা, ইরাক-কুয়েত সর্বশেষ ভারত-বাংলাদেশ। এরা সবাই ছিল একসময় পারস্পরিক পরিক্ষিত বন্ধু।