সাংবাদিকরা রাস্ট্রের চতুর্থ স্তম্ব যা কাগজে কলমে-ই সীমাবদ্ধ।
প্রথম স্তম্ব জাতীয় সংসদ, বেতন, ভাতা, গাড়ি, বাড়ি সবই দেয়া হয়।
২য় বিচার বিভাগ,সুযোগ সুবিধার অভাব নেই।
তৃতীয় নির্বাহী বিভাগ, তাদের সুযোগ সুবিধা পাহাড় সমান।
চতুর্থ গণমাধ্যম, সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা নেই একমাত্র বিটিভি, বাংলাদেশ বেতার সরকারি সুবিধা পায় যাদের সংবাদ জনগণ দেখতে বা শুনতে চায় না। দিন-রাত সরকারের বন্দনা করা এই সরকারি গণমাধ্যমের কাজ। দেশবাসীর কাছে এই গণমাধ্যমের তেমন কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। বলা হয় গণমাধ্যম স্বাধীন অথচ এদের প্রচারণায় কোনো স্বাধীনতা আছে বলে মনে হয়না। ইতিপূর্বে প্রত্যেকটি সরকারই এই মাধ্যমকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে।
সংবিধানে গণমাধ্যম রাস্ট্রের চার খুঁটির এক খুঁটি। একটা খুঁটি ভাঙ্গা থাকলে ঘর একদিকে হেলে পরাটাই স্বাভাবিক।
স্বল্প সংখ্যক বেসরকারি গণমাধ্যম বেতন, ভাতা দেয় যাদের অধিকাংশই সরকার থেকে সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য সর্বদা সরকারের তৈলমর্দনে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু ৯৮% গণমাধ্যমকর্মীদের নিজের খরচে সংবাদ সংগ্রহে নিজেদের বাইকের জ্বালানি, টোল, খেয়াপার, বাসভাড়া, খাবার যোগাড় করে আইসিটির মতো কালো আইনকে উপেক্ষা করে নিউজ করতে হয় । ফলে অধিকাংশ সাংবাদিকরা হামলা, মামলা, ক্ষমতাশীন রাজনৈতিক দলের নির্যাতনের শিকার হয়। অন্যদিকে অধিকাংশ পত্রিকার মালিকের বেতন দেয়ার সংগতি নেই ফলে আর্থিক সমস্যার কারণেই অনেক মিডিয়া কর্মী জড়িয়ে পরে অনৈতিক কাজে। চতুর্থ স্তম্ভে বৈষম্যের কারণে এখানে জরুরি সংস্কার প্রয়োজন।
১. সরকারের উচিত হবে সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত চতুর্থ স্তম্ভের গণমাধ্যমকর্মীদের সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিতকরণে অর্থনৈতিক বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া । গণমাধ্যম ঠিকমতো কাজ করলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও রাস্ট্র পরিচালনা করণ সহজ হবে।
২. সংবাদ সংগ্রহে সর্বত্র টোল ফ্রি যাতায়াতের সুবিধা দিতে হবে।
৩. সরকারি যানবাহনে সংবাদ সংগ্রহে ফ্রি যাতায়াতের সুবিদা নিশ্চিতকরণ।
৪. আইসিটি অ্যাক্টে সংবাদ কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না। গণমাধ্যমকর্মীদের কণ্ঠরোধ কিংবা লেখার স্বাধীনতা হরণকরে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়।
৫. সংবাদ সংগ্রহে গণমাধ্যমকর্মীদের যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশ প্রটেকশন নিশ্চিত করতে হবে।।
৬. সংবাদ প্রকাশে কোনোরকম বাধা দেয়া যাবে না। মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে প্রচলিত আইনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিচার হবে এবং সরকার প্রদত্ত আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে দিতে হবে। অর্থনৈতিক সুবিধা বন্ধ হলে কোনো সংবাদকর্মী মিথ্যা সংবাদ বলতে বা লিখতে সাহস করবে না।
লেখকঃ লায়ন সোবহান হাওলাদার,
গণমাধ্যমকর্মী