মফিজের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ চল্লিশোর্ধ একজন রিক্সাচালক প্রায় তার-ই সমবয়সী আর একজন রিক্সাচালকের সাথে বসে চা খাচ্ছিল আর সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে আলাপ করছিল। আমি পাশে বসে চা পান করতে করতে তাদের কথাগুলো শুনছিলাম।
একজন আর একজনকে বলতে ছিল হিরো আমল কেন মার খেল। অন্যজন বললো বেশ কিছুদিন হিরোর খোঁজ ছিল না। ইলেকশন সন্নিকটে তাই মার খেয়ে লাইম লাইটে আসার চেষ্টা করছে যদি কোনো দল নমিনেশন দেয়, কেননা নির্বাচনতো তার করতেই হবে।
আসন্ন নির্বাচনে একটা দল ব্যতীত প্রায়ই দলেরই একাধিক প্রার্থী। যাদের নাম কোনোদিন কেউ শুনে নাই তারাও দোয়া প্রার্থী। অন্যজন বললো দলীয় নমিনেশন'র আগে একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে প্রচার করার অপচেষ্টা করছে মাত্র এবং নিজেকে বড় দলের নেতা হিসেবে জাহির করতে পারলে আগামী ৫ বছর নির্বিঘ্নে ব্যবসা বাণিজ্য করা যাবে অথচ এদেরকে এলাকায় কেউ চিনে না ।
বিগত ১৭ বছর যারা দলের হাল ধরে তৃণমূলকে একত্র করে রেখেছিল তারা কেন এখন দলে কোণঠাসা এরকম প্রশ্নের উত্তরে একজন অন্যজনকে বলছিল এটাই হলো পলিট্রিক্স।
রাজনীতিতে সৎ, দক্ষ, ত্যাগীদের চেয়ে বর্তমানে অবৈধ উপার্জনকারী চাপাবাজ ভোকালদের স্থান অনেক উপরে চলে যাচ্ছে।
একজন বললো দেখো ভাই এবারকার দূর্গাপূজায় জ*ঙ্গী * দের অনুপস্থিতি কী-ই প্রমাণ করে না, দেশ এখন জ★ঙ্গী মু্ক্ত?
এতোবড় একটা দলের হঠাৎ পতনের পড়ে ঐ দলের নেতাকর্মীরা গেল কোথায়? এরকম প্রশ্নের জবাবে অন্যজন বললো ওরা অনকেই সত্যিকারের দল করতো না। ৫ আগস্টের পরে প্রকৃত দল প্রেমিকরা দেশ ছেড়েছে আর সুযোগ সন্ধানীরা বিভিন্ন দ লে যোগদান করতেছে, নিরীহ সাধারণরা যারা দলকে ভালোবেসেছিল তারা নিরব আছে ভবিষ্যতে ভালো কিছুর আশায়। তাহলে রাজনীতিতে আদর্শের কী হলো অন্যজন বললো আরে রাজনীতিতে শেষ বলে কীছু নেই।
এদের আলাপচারিতা শুনে আমি "থ" হয়ে গেলাম। ভাবলাম প্রান্তিক জনগণ যা বুঝে আমি তাও বুঝি না।
বর্তমান রাজনীতিবিদদের এরকম সচেতন জনগণের ভোট পেতে হলে তাদের হতে হবে সৎ, দেশপ্রেমিক, জনবান্ধব, বিনয়ী ভালোমানুষ। তাই আসন্ন ভোটের ফলাফল নির্ধারণ করবে খেটে খাওয়া আমাদের মতো ৪০% মানুষ যারা রাজনীতি বুঝে না।
লেখক লায়ন সোবহান হাওলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক