যতোটুকু জানা যায় ১৯৭৫ সালে সিরাজগঞ্জ থেকে ফারিয়ার যাত্রা শুরু। ২০১৬ তে গঠিত হয় কয়েকজন বলিষ্ঠ নেতৃত্বের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় ফারিয়া। এরপর থেকেই সংগঠনটি নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু। ফলশ্রুতিতে কী হয়েছে তার বাস্তব উদাহরন বর্তমান কেন্দ্রীয় ফারিয়া। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত রেষারেষি এবং স্বার্থের কারণে আজ ফারিয়া বহুধাবিভক্ত অবশ্য এরজন্য দায়ি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের কোনো অনুশোচনা আছে বলে মনে হয় না। স্থায়ী পরিষদ শত চেষ্টা করেও ভাঙ্গন রোধ করতে ব্যর্থ হয় শুধুমাত্র ব্যক্তি ইগোর কারণে। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে একে অন্যকে হেয় করতেও এরা দ্বিধাবোধ করে নাই অথচ একসময় ছিল পরম বন্ধু।
ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য স্ব উদ্যোগে সবশেষ চেষ্টা করেছিলাম তাও ব্যর্থ হয়েছে। পরবর্তী ঘটনা-দূর্ঘটনা সবাই অবহিত। বিএমএ ভবনের অনুষ্ঠানে না পারলাম উপস্থিত থাকতে না পারছি অভিনন্দন জানাতে অথচ এ সম্মেলনটি হতে পারতো বছরের পর বছর ফারিয়াকে নেতৃত্ব দেয়া পরিক্ষিত গুণীজনদের উপস্থিতিতে মিলনমেলা। সবাইকে নিয়ে বিজয়ের মজাই আলাদা। হোক প্যানেল ৩/৪ টা এবং সেখান থেকে বেড়িয়ে আসতে পারতো সর্বজন গ্রহনযোগ্য নেতৃত্ব যেখানে থাকতো সবাইর অংশগ্রহণ। বিভাজিত কেন্দ্রীয় ফারিয়া কারো কাম্য হতে পারে না। প্রতিনিধিদের কল্যাণে সর্বোচ্চ কাজ করাই যদি আমাদের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে সেখানে ঐক্যবদ্ধ ফারিয়ার কোনো বিকল্প নেই। অযথা কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি করে নিজেদের পারিবারিক সম্মান,ঐতিহ্য আর নষ্ট করবেন না। আত্ম সমালোচনা করুন এবং ভুলত্রুটির জন্য পরস্পর পরস্পরের কাছে ক্ষমা চান এবং মাফ করে দিন।
ফারিয়া হোক উচ্চ শিক্ষিত পেশাজীবীদের সুসংগঠিত সর্ববৃহৎ সংগঠন।
লায়ন সোবহান হাওলাদার
সাবেক সভাপতি শরিয়তপুর ফারিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাদারীপুর ও কুষ্টিয়া ফারিয়া।