সোহেল হাওলাদার বরিশাল
২৪।০১।২৫: বিকাল ৩টায় বরিশাল অশ্বিনী কুমার হলচত্বরে ন্যায্য মজুরি, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বদলে স্থায়ীকরণ ও ব্যাটারিচালিত যানবাহনের BRTA স্বীকৃত লাইসেন্সের দাবিতে বরিশালে শ্রমিক ফ্রন্টের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শ্রমিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল মল্লিক এবং পরিচালনা করেন শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক শহিদুল হাওলাদার। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কমরেড জুলফিকার আলী, বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়ক ডাঃ মনীষা চক্রবর্ত্তী, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলা শাখার ক্রীড়া সম্পাদক বেল্লাল গাজী, বরিশাল রিক্সা-ভ্যান চালক-শ্রমিক ইউনিয়ন এবং ব্যাটারিচালিত রিক্সা-ভ্যান চালক-শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল শেখ, সোনারগাঁও টেক্সটাইল শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মাসুম গাজী, অপসো স্যালাইন শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি কাঞ্চন মল্লিক, অলিম্পিক সিমেন্ট শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি সেলিম সর্দার, মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যালস শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি সোনিয়া বেগম, রেফকো ফার্মাসিউটিক্যালস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মহসিন হাওলাদার, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হোসেন আলী, গ্লোবাল ক্যাপসুল শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মোঃ আরিফ, পদ্মা ব্লোয়িং শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের অর্থ সম্পাদক জসিম গাজী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বরিশালে বেশিরভাগ কারখানায় শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র দেয়া হয়না, ন্যুনতম মজুরির টেক্সটাইল ও ঔষধ খাতের গেজেট প্রনয়ন হলেও সিংহভাগ কারখানায় তা বাস্তবায়ন হয়নি। কোন কারখানায় শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার দেয়া হয়না, মত প্রকাশ করলে ছাঁটাই করা হয়। সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতৃত্বে বরিশালে ৮টি কারখানায় ধারাবাহিক শ্রমিক আন্দোলনের মধ্য থেকে এই শোষণমূলক পরিবেশে চিড় ধরেছে, শ্রমিকরা সংগঠিত হচ্ছে। শ্রমিক ফ্রন্ট গত ১৩ বছর ধরে বরিশালসহ সারাদেশে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের BRTA স্বীকৃত লাইসেন্সের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে।
বক্তারা বলেন, ৪৩ বছর ধরে শ্রমিক ফ্রন্ট সারাদেশে শ্রমিকদের সংগঠিত করে শ্রমিক শোষনের বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াই পরিচালনা করছে। এই লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় সুজল, বাচ্চুর মত শ্রমিকরা শহীদ হয়েছেন। আবার শত শত শ্রমিক মালিকের ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও পুলিশী হামলায় আহত হয়েছেন, জেল খেটেছেন। শ্রমিক ফ্রন্ট শুধু মজুরি বৃদ্ধি বা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্সের আন্দোলন করে না, শ্রমিক ফ্রন্ট সমাজ বদলের আন্দোলন করে। এই পুঁজিবাদী লুটপাটের অর্থনীতি টিকে থাকলে শ্রমিকদের মুক্তি আসবেনা। তাই বক্তারা শ্রমিকদের সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতৃত্বে এই লুটপাটের অর্থনীতি পালটে দিয়ে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি গড়ে তুলে শ্রমিকদের মুক্তির সংগ্রামকে জোরদার করার আহবান জানান।